রবির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, এখন নতুন গ্রাহক আকর্ষণের দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে। এ কারণে একীভূত রবির গ্রাহকদের জন্য আসছে নতুন আকর্ষণীয় ও সাশ্রয়ী প্যাকেজ। ফলে রবি নেটওয়ার্ক ব্যবহারকারীদের ব্যয়ও অন্য অপারেটরের চেয়ে তুলনামূলক কম হবে।
যৌথ সম্পদ ব্যবস্থাপনা :রবি সূত্র জানায়, একীভূতকরণ পরিকল্পনার আওতায় এয়ারটেলের সব দেনা-পাওনা, সম্পত্তি ও তরঙ্গ ব্যবহারের দায়িত্ব ও অধিকার পাবে রবি। এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেডের নিবন্ধন বিলুপ্তকরণ প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। তবে বিলুপ্ত হলেও বিশেষ চুক্তির আওতায় রবি আজিয়াটা লিমিটেড তাদের নিজস্ব ব্র্যান্ড ছাড়াও এয়ারটেল ব্র্যান্ড নামটি ব্যবহার করতে পারবে। ওই সূত্র আরও জানায়, এখন থেকে এয়ারটেল রবির একটি ব্র্যান্ড হিসেবেই ব্যবহৃত হবে।
চুক্তি অনুযায়ী, একীভূত রবিতে রবি আজিয়াটার শেয়ার ৬৮ দশমিক ৭ শতাংশ, ভারতীয় এয়ারটেলের ২৫ শতাংশ এবং অবশিষ্ট শেয়ার জাপানের এনটিটি ডেকোমোর।
জানা যায়, রবি ও এয়ারটেলের সম্মিলিত বেতার তরঙ্গের বর্তমান পরিমাণ ৩৯ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ। টুজির জন্য ১৮০০, ৯০০ এবং থ্রিজির জন্য দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডে এ বেতার তরঙ্গ রয়েছে। শর্ত অনুযায়ী রবি চাইলে এর মধ্যে টুজির ৯০০ মেগাহার্টজ থেকে বেতার তরঙ্গ ফেরত দিতে পারবে। আগামী ২৮ নভেম্বরের মধ্যে রবিকে জানাতে হবে, বেতার তরঙ্গ কতটুকু রেখে কতটুকু ছাড়ছে। বেতার তরঙ্গ ছেড়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রতি মেগাহার্টজের মূল্য ধরা হবে ২৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা।
রবির কর্মকর্তারা জানান, একীভূত বেতার তরঙ্গ ব্যবহারের মাধ্যমে একক নেটওয়ার্কে আসতে আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে গ্রাহকদের। তবে এ বিষয়ে দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এরই মধ্যে এয়ারটেলের ৮০ লাখ গ্রাহক রবির অন্যান্য সব ধরনের সুবিধার আওতায় রয়েছেন। একই সঙ্গে রবির গ্রাহকরা এখন থেকে এয়ারটেলের এনজিএন নেটওয়ার্কের সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন।
ভবিষ্যৎ লক্ষ্য :ভবিষ্যৎ লক্ষ্য সম্পর্কে সিইও মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধান লক্ষ্য থাকবে ৩ কোটি ১০ লাখ গ্রাহককে সাশ্রয়ীমূল্যে আকর্ষণীয় এবং উদ্ভাবনী মোবাইল ও ব্রডব্যান্ড সেবা দেওয়া। বিশেষ করে দ্রুততার সঙ্গে মোবাইল ব্রডব্যান্ড সেবার বিস্তৃতির মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা।
রবি সূত্র আরও জানায়, একীভূত রবির দেশে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের উপযোগী শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়তে চায়। একই সঙ্গে আরও বিপুলসংখ্যক গ্রাহককে সংযুক্ত করে রবি সবার চেয়ে এগিয়ে যেতে চায়।
'আপন শক্তিতে জ্বলে উঠুন' স্ল্নোগান নিয়ে রবি তরুণদের জন্য অনেকগুলো কর্মসূচি নিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে জাতীয় হাইস্কুল প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা, রবি-দৃষ্টি বিতর্ক প্রতিযোগিতা, বিডিঅ্যাপস, ফটোগ্রাফিক কনটেস্ট, অ্যাডমেকার, ইয়ন্ডর মিউজিক, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান, টেন মিনিট স্কুল, ইংলিশ ইন স্কুল, ইন্টারনেট ফর ইয়ুথ প্রভৃতি। এ ছাড়া ইন্টারনেট ফর ইয়ুথ নামে আরেকটি কর্মসূচি হাতে নিয়েছে রবি; এর মাধ্যমে ইন্টারনেটের কার্যকর ও যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। ভবিষ্যতে তথ্যপ্রযুক্তি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ খাতে চলমান কর্মসূচির পাশাপাশি আরও নতুন উদ্ভাবনী কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে যাবে একীভূত রবি_ এমনই আশা করছেন কর্মকর্তারা।
0 comments: